নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং দোছড়ি এলাকায় প্রতিনিয়ত চলছে পাহাড় কাটা। প্রশাসন ও বনবিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মামলায় অভিযুক্ত হয়েও থেমে নেই আবু শামা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। বনভূমি দখলসহ পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রি সহ নানা অপরাধে জড়িত আবু শামা যেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। সর্বশেষ তার পাহাড় কাটার স্পটে পাথের শিলা পড়ে নিহত হয়েছেন একই এলাকার সাহাব উদ্দিন নামের এক যুবক।
ঘটনাটি ঘটে ১৭ অক্টোবর(বৃহস্পতিবার) বিকেলে। নিহত সাহাব উদ্দিন স্থানীয় ফজল করিমের ছেলে বলে জানা যায়।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাহাড়খেকো আবু শামার বিরুদ্ধে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। যার নং-৫৯ উখি/২৩-২৪। ইতিপূর্বে তাকে বার বার সতর্ক করার পরেও পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় বনবিভাগ।
উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিটের বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান জানায়,” যে জায়গায় মাটি কাটা হয়েছে সেখানে এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়। এরপরে অনেকদিন সে মাটি কাটা বন্ধ রেখে গা-ঢাকা দিয়েছিলো। কিন্তু আজ আবারও শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটতে গেলে উপর থেকে পাথের শিলা পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
এদিকে, একের পর এক প্রশাসনের অভিযান, জরিমানা, মাটি কাটার যন্ত্র জব্দ ও চক্রের সদস্যদের আটক করে সাজা দেয়ার পরও থামছে না মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য। গভীর রাতে মাটি খেকোরা কাটছে মাটি। এসব মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি টাকার উন্নয়নের সড়কও। এই মাটি বেঁচে দেওয়ার সর্বনাশা কাণ্ডে মেতেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। সে চক্রে রয়েছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও। বেচাবিক্রির হিড়িকে বাদ যায়নি পাহাড় ও খাল পাড়ের মাটিও।
এর আগে সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মিনি ট্রাকে (ডাম্পার) করে মাটি পাচার করছিল কতিপয় বনদস্যু। খবর পেয়ে গভীর রাতে অভিযানে নেমে প্রাণ হারিয়েছিলেন দৌছড়ির সাবেক বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। পাহাড়খেকোদের ব্যবহৃত ডাম্পারের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-